১) অনুমান কে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি ?
→অনুমান কে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
(i) আরোহ অনুমান
(ii) অবরোহ অনুমান
২) আরোহ অনুমান কাকে বলে?
→ কয়েকটি বিশেষ সিদ্ধান্ত পর্যবেক্ষণ করে প্রকৃতির এক রূপতা নীতি ও কার্যকারণ নীতির উপর ভিত্তি করে যে সামান্য সংশ্লেষক বচন প্রতিষ্ঠা করা হয় তাকে আরোহ অনুমান বলে।
৩) আরোহ অনুমানের আকারগত ভিত্তি কি?
→ প্রকৃতির একরূপতা নীতি ও কার্যকারণ নীতি ।
৪) আরোহ অনুমানের বস্তুগত ভিত্তি কী?
→ পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ ।
5) আরোহ অনুমানের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ ?
→ (i) সিদ্ধান্তটি সবসময় একাধিক আশ্রয় বাক্য থেকে নিঃসৃত হয়, কিন্তু অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় না ।
(ii) সিদ্ধান্তের ব্যাপকতা সবসময় আশ্রয় বাক্যকে অতিক্রম করে।
৬) বৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানের সিদ্ধান্ত কেমন বাক্য হবে ?
→ সামান্য সংশ্লেষক ।
৭) আরোহমূলক লাফ কাকে বলে?
→বিশেষ আশ্রয় বাক্য থেকে সামান্য সিদ্ধান্তে আসা হল আরোহ মূলক লাফ।
৮) বৈজ্ঞানিক আরোহের লক্ষ্য কি ?
→ কার্যকারণ সমন্ধ নির্ণয় করা।
৯) অবৈজ্ঞানিক আরোহকে অপূর্ণ গণনামূলক আরোহ অনুমান বলে কেন ?
→ এখানে মাত্র কয়েকটি বিশেষ সিদ্ধান্ত পর্যবেক্ষণ করে সার্বিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় তাই এটিকে অপূর্ণ গণনামূলক আরোহ অনুমান বলে।
১০) অবৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানের লৌকিক আরোহ অনুমান বলে কেন ?
→ এই অনুমান কার্যকারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার পরিবর্তে সাধারণ মানুষের মতামতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে একে লৌকিক আরোহ অনুমান বলে ।
১১) আরোহের সমস্যা কী?
→ আরোহের সমস্যা হলে কিভাবে সামান্যীকরণ বৈধ হবে তা নির্ণয় করা।
১২) অবৈজ্ঞানিক আরোহের ভিত্তি কী?
→ অবাধ ও বাতিক্রমহীন অভিজ্ঞতা।
১৩) উপমা যুক্তির সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য কেন ?
→ উপমা যুক্তির কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয়ের চেষ্টা করেনা তাই এর সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য হয় ।
১৪) আরোহ অনুমান কোন ধরনের শর্ততা থাকে ?
→ বস্তুগত শর্ততা থাকে।
১৫) লৌকিক বা অবৈজ্ঞানিক বা অপূর্ণ গণনামূলক আরোহ অনুমান কাকে বলে ?
→ কার্যকারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা না করে কেবলমাত্র অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিশেষ বিশেষ দৃষ্টান্ত থেকে সামান্য সংশ্লেষক বচনে উপনীত হওয়ার প্রক্রিয়াকে, লৌকিক বা অবৈজ্ঞানিক বা অপূর্ণ গণনামূলক আরোহ অনুমান ।
১৬) আরোহ অনুমানে আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তে মধ্যে কিসের সম্পর্ক থাকে না ?
→ প্রশক্তি সম্ভাব্য থাকে না।
১৭) উপমা যুক্তির ভিত্তি কী?
→ সাদৃশ্য ।
১৮) সামান্যীকরণ প্রক্রিয়া কী?
→ যে পদ্ধতির সাহায্যে সমজাতীয় কয়েকটি বিশেষ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ করে ওই জাতির অন্তর্গত সব বস্তু সম্বন্ধে একটি সার্বিক সংশ্লেষক বচন প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেই পদ্ধতিকে সামান্যীকরণ প্রক্রিয়া বলে ।
১৯. আরোহমূলক লাভ বা ঝাপ কোন আরোহ অনুমানে দেখা যায় ?
→ বৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানে।
২০) বৈজ্ঞানিক আরোহ অনুমানের একটি দৃষ্টান্ত দাও ?
→ তামা কে উত্তপ্ত করলে আয়তন বৃদ্ধি পায়, লোহা কে উত্তপ্ত করলে আয়তন বৃদ্ধি পায়, সোনা কে উত্তপ্ত করলে আয়তন বৃদ্ধি পায়, রূপকার উত্তপ্ত করলে আয়তন বৃদ্ধি পায়।
. ' . সকল ধাতু কে উত্তপ্ত করলে আয়তন বৃদ্ধি পাই।
২১) কাকে আরোহ অনুমানের আবশ্য স্বীকার্য সত্য বলা হয় ?
→ প্রকৃতির একরূপতা নীতি ও কার্যকারণ নীতিকে আরোহ অনুমানের আবশ্য স্বীকার্য সত্য বলা হয়।
২২) কে বা কারা আরোহমূলক লাফ কে আরোহ অনুমানের মূল বৈশিষ্ট্য বলেছেন ?
→ মিল ও বেইন ।
23) সাদৃশ্য মূলক আরোহ অনুমান বা উপমা যুক্তি কাকে বলে ?
→ দুটি বস্তুর মধ্যে কোন কোন বিষয়ে সাদৃশ্য লক্ষ্য করে তারই ভিত্তিতে যখন উভয়ের মধ্যে অন্য কোন সাদৃশ্যের অনুমান করা হয় তখন তাকে উপমা যুক্তি বা সাদৃশ্যমূলক আরােহ অনুমান বলে ।
২৪. উপমা যুক্তির একটি দৃষ্টান্ত দাও।
→ পৃথিবীর মতো মঙ্গল গ্রহও সূর্যের চারদিকে ঘোরে।
পৃথিবীর মতো মঙ্গল গ্রহও সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় ।
উভয় গ্রহের জলবায়ু ও তাপমাত্রা একই রকমের। উভয় গ্রহে মাটি ও সমুদ্র আছে ।
পৃথিবীতে প্রাণ আছে,
. ' . মঙ্গল গ্রহে প্রাণ আছে ।
২৫) উপমা যুক্তির একটি মূল্যায়ের মান দ্ন্দ উল্লেখ করো।
→ উপমা যুক্তির ক্ষেত্রে জ্ঞ্যাত সাদৃশ্যের সংখ্যা যত বেশি হবে উপমা যুক্তির সিদ্ধান্তের সম্ভাবতা তত বেশি হবে ।
২৬) কখন উপমা যুক্তির সিদ্ধান্ত সত্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ?
→ যুক্তিবাক্যে উল্লেখিত দৃষ্টান্তের মধ্যে সাদৃশ্য যদি প্রসঙ্গিক হয় তাহলে সিদ্ধান্ত সত্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হবে ।
২৭) উপমা যুক্তিকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
→দুটি।
→(i) ভালো উপমা যুক্তি।
(ii) মন্দ উপমা যুক্তি।
২৮) ভালো উপমা যুক্তি কাকে বলে ?
→ যে উপমা যুক্তিকে অধিক সংখ্যক প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ সাদৃশ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত করা হয়, তাকে ভালো উপমা যুক্তি বলে ।
উদাহরণ:- মানুষের মতো পশুদেরও হৃদয় আছে। সুতরাং মানুষের মত পশুদেরও বেদনা বোধ আছে।
২৯) মন্দ উপমা যুক্তি কাকে বলে ?
→ যে উপমা যুক্তি সাদৃশ্যের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা অপেক্ষা কম বা বলা যায় সাদৃশ্য গুলি বেশিরভাগই অপ্রাসঙ্গিক তাকে মন্দ উপমা যুক্তি বলে।
উদাহরণ:- মানুষের মত পশুদের হাত, পা, চোখ, নাক, কান ইত্যাদি আছে। সুতরাং মানুষের মতো পশুদের ও চিন্তা শক্তি আছে।