প্রশ্ন:-
'মেঘের গায়ে জেলখানা’ প্রবন্ধ অনুসারে বক্সার জেলখানার বর্ণনা দাও।
1×5=5
উত্তর:-
জেলখানার বর্ণনা→
লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের ‘মেঘের গায়ে জেলখানা’ প্রবন্ধে বক্সার জেলের বিবরণ রয়েছে। বক্সার জেলখানার চারদিক কাটাতারে ঘেরা। সামনে পাহারা দিচ্ছে বন্দুকধারী সেপাই। কাটাতারের বেড়া পেরােলে দেখা যায় ঘাস আর কাঁকর মেশানাে ছােটো মাঠ। মাঝে উঁচু হয়ে আছে সাদা সাদা আখাম্বা পাথর। বেড়ার পূর্ব দিকে রয়েছে ছােট্ট একটি কাঠের পুল সেটিই জয়ন্তী পাহাড়ে যাওয়ার রাস্তা। তার ঠিক নীচ দিয়ে গেছে একটি ঝরনা যেটি শুকিয়ে গেছে। জেলখানাটা তিনতলা সমান উঁচু পাহাড়ের হাঁটুর উপর অবস্থিত। মাঠের গা দিয়ে পাথরের সিঁড়ি উঠে গিয়েছে। সিঁড়ি দিয়ে উঠলে চোখে পড়ে বড়াে লােহার ফটক। তার মধ্যে ছােটো একটি লােহার গেট আছে। মাথা বাঁচিয়ে ঢুকতে হয়। ভিতরে ঢুকলে দেখা যায় বাঁ - দিকে জেলের অফিস, সেপাইদের ব্যারাক, আর নীচু তলার কর্মীদের কোয়ার্টার। তিনটে ফটক পেরােনাের পর জেলের অন্দরমহলের দেখা মেলে। চারদিক কাটাতার দিয়ে ঘেরা। শুধু আকাশ ছাড়া কিছু দেখা যায় না।
পাহাড়ের মােট তিনটে খাঁজের প্রত্যেকটিতে সারি সারি ঘর। পুর পাথরের দেয়াল। কাঠের ছাদ রং করা। ছাদের কাছে ছােটো জানলা গরাদ আঁটা। মােটা কাঠ আর পেটা লােহা দিয়ে তৈরি ডবল দরজা আছে। দরজার সামনে কাটাতারে ঘেরা ছােটো উঠোন। দেয়ালের বাইরে একশাে হাত ছাড়া ছাড়া উঁচু করে তৈরি করা হয়েছে সেন্টিবক্স। তাতে চব্বিশঘণ্টা বন্দুকধারী সেপাই নজর রাখে। বক্সার জেলখানাকে দেখতে অনেকটা হিটলারের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের মতাে।