প্রশ্নঃ ষোড়শ মহাজনপদের নাম কোন গ্রন্থ থেকে পাওয়া যায় ?
উত্তর : বৌদ্ধগ্রন্থ ‘ অঙ্গুত্তরনিকয় ’ ও জৈনগ্রন্থ ‘ ভগবতীসূত্র ’ থেকে ষোড়শ মহাজনপদের নাম পাওয়া যায় ।
প্রশ্নঃ ষোড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে কোন্ চারটি রাজ্য শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল এবং শেষ পর্যন্ত কোন রাজ্যটি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল ?
উত্তরঃ বৎস , কোশল , অবন্তী ও মগধ রাজ্য ষোড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল । শেষ পর্যন্ত মগধ অন্যান্যদের পরাস্ত করে সাম্রাজ্যের সূচনা করেছিল ।
প্রশ্ন : কোন শাসক মগধের রাজধানী রাজগৃহ থেকে পাটলিপুত্র স্থানান্তরিত করেন ?
উত্তরঃ অজাতশত্রুর পুত্র উদায়িন মগধের রাজধানী রাজগৃহ থেকে পাটলিপুত্রে স্থানান্তরিত করেন ।
প্রশ্নঃ কি কি সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতে নগরায়ণের সূচনা হয়েছিল ?
উত্তর : ব্যবসা - বাণিজ্যের সম্প্রসারণের ফলে নতুন নতুন সমৃদ্ধ জনপদের উদ্ভব শ্রেষ্ঠী ও বণিক সম্প্রদায়ের ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে দ্রুত নগরায়ণের শুরু হয় ।
প্রশ্নঃ খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে প্রাচীন ভারতে গড়ে ওঠা কয়েকটি নগরের নাম লিখ ।
উত্তরঃ মগধের রাজধানী রাজগৃহ , কোশলের রাজধানী শ্রাবন্তী , অবন্তীর রাজধানী উজ্জয়িনী , গান্ধার রাজ্যের রাজধানী তক্ষশীলা প্রভৃতি নগরী হিসাবে বিখ্যাত ছিল ।
প্রশ্নঃ মগধ বলতে কোন্ অঞ্চলকে বোঝাত ? এর প্রাচীন রাজধানীর নাম কী ছিল ?
উত্তরঃ মগধ বলতে বর্তমান দক্ষিণ বিহারের পাটনা এবং গয়া জেলাকে বোঝাত । গিরিব্রজ বা রাজগৃহ বা রাজগীর মগধের প্রাচীন রাজধানী ।
প্রশ্নঃ বিম্বিসার কে ছিলেন ? তিনি কোন্ চার রাজকন্যাকে বিয়ে করেছিলেন ?
উত্তরঃ বিম্বিসার হর্ষঙ্ক বংশের সন্তান এবং মগধের প্রথম উল্লেখযোগ্য নৃপতি ছিলেন । তিনি কোশল রাজকন্যা কোশলদেবী , লিচ্ছবি রাজকন্যা চেলন্নাহ , মদ্র রাজকন্যা ক্ষেমা এবং বিদেহ রাজকন্যা বাসকীকে বিয়ে করেছিলেন ।
প্রশ্নঃ বিম্বিসার যুদ্ধ দ্বারা কাকে পরাজিত করে কোন রাজ্য জয় করেছিলেন কোন্ গান্ধাররাজ বিম্বিসারের কাছে দূত পাঠিয়েছিলেন ? বিম্বিসার বৌদ্ধসঙ্ঘকে কোন্ উদ্যান দান করেছিলেন ?
উত্তর : রাজা ব্রহ্মদত্তকে পরাজিত করে বিম্বিসার অঙ্গ রাজ্য জয় করেছিলেন । গান্ধাররাজ পুককুসতি বিম্বিসারের কাছে দূত পাঠিয়েছিলেন । বিম্বিসার বৌদ্ধসঙ্ঘকে ‘ করন্ত বেনুবন ' নামক উদ্যান দ্যান করেছিলেন ।
প্রশ্নঃ হর্ষঙ্ক শাসকদের প্রথম রাজধানীর নাম কী ? কোন্ হর্ষক রাজার সময়ে কাশী মগধের সঙ্গে যুক্ত হয় ?
উত্তরঃ হর্ষঙ্ক শাসকদের প্রথম রাজধানী রাজগৃহ । হর্ষঙ্করাজ অজাতশত্রুর সময়ে বিবাহের যৌতুক হিসাবে কাশী মগধের সঙ্গে যুক্ত হয় ।
প্রশ্নঃ হর্ষঙ্ক বংশের শেষ শাসক কে ? বস্সাকর পরিচয় কী ?
উত্তরঃ হর্ষঙ্ক বংশের শেষ শাসক নাগদশক । বস্সাকর ছিলেন হর্ষঙ্করাজ অজাতশত্রুর মন্ত্রী ।
প্রশ্নঃ পাটলীপুত্র নগরের প্রতিষ্ঠাতা কে ? এটি কোন্ কোন্ নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত ?
উত্তরঃ পাটলীপুত্র নগরে প্রতিষ্ঠাতা হর্ষঙ্ক বংশের শাসক বিম্বিসার পুত্র অজাতশত্রু । এটি গঙ্গা ও শোন নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত ।
প্রশ্নঃ মগধে শৈশুনাগ বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ? এই বংশের শেষ শাসকের নাম কী ?
উত্তরঃ মগধে শৈশুনাগ বংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন শিশুনাগ । এই বংশের শেষ শাসক ।
প্রশ্নঃ শিশুনাগের সময়ে মগধের রাজধানী কোথায় ছিল ? কাকবর্ণ রাজধানী কোথায় স্থানান্তরিত করেন ?
উত্তর ঃ শিশুনাগের রাজত্বের প্রথম দিকে মগধের রাজধানী ছিল রাজগৃহ । কাকবর্ণ মগধের রাজধানী পাটলিপুত্র নগরে স্থানান্তরিত করেছিলেন ।
প্রশ্নঃ ‘ মহাকণ্টক শিলা ' কী ?
উত্তরঃ মহাকণ্টক শিলা এক বিশেষ ধরনের যুদ্ধাস্ত্র যা অজাতশত্রু লিচ্ছবিদের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যবহার করেছিলেন । এই যুদ্ধাস্ত্র দ্বারা শত্রুসেনা লক্ষ্য করে বড় বড় পাথরের টুকরো নিক্ষেপ করা যেত ।
প্রশ্নঃ ‘ রথমুষল ’ কী ?
উত্তরঃ রথমুষল হচ্ছে অজাতশত্রু ব্যবহৃত এক ধরনের রথ । এই রথের দেহে লাগানো থাকত তীক্ষ্ণ ফলা । ফলে রথটি শত্রু সেনার ভিতর দিয়ে গেলে উক্ত ফলার আঘাতে অনেকের মৃত্যু হত ।
প্রশ্ন : খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের দুটি প্রজাতান্ত্রিক মহাজনপদের নাম করো ।
উত্তর : বৃজি , মল্ল ।
প্রশ্ন : কোন কোশলরাজ বুদ্ধের সমসাময়িক ছিলেন ?
উত্তর : কোশলরাজ প্রসেনজিৎ বুদ্ধের সমসাময়িক ছিলেন ।
প্রশ্ন : হর্ষঙ্ক শাসকদের প্রথম রাজধানীর নাম কী ছিল ? কোন হর্ষঙ্ক রাজার সময়ে কাশী মগধের সঙ্গে যুক্ত হয় ?
উত্তর : প্রথম রাজধানী রাজগৃহ । অজাতশত্রুর সময়ে বিবাহের যৌতুক হিসাবে কাশী মগধের সঙ্গে যুক্ত হয় ।
প্রশ্ন : হর্ষঙ্ক বংশের শেষ শাসক কে ? বস্সাকর পরিচয় কী ?
উত্তর : নাগদশক । বস্সাকর ছিলেন হর্ষঙ্করাজ অজাতশত্রুর মন্ত্রী ।
প্রশ্নঃ মগধে শৈশুনাগ বংশের পর কোন্ বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ? এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ? এই বংশের শেষ শাসক কে ?
উত্তরঃ মগধে শৈশুনাগ বংশের পর নন্দবংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা মহাপদ্মনন্দ । নন্দ বংশের শেষ শাসক ধননন্দ । তিনি ৩২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিংহাসনচ্যুত হন ।